ধর্মবিদ্বেষী শিপন দাসকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সর্বত্র কঠোর আন্দোলন পবিত্র কাবার অবমাননাকারী ধর্মদ্রোহীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন সংসদে পাশ করতে হবে


ধর্মবিদ্বেষী শিপন দাসকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সর্বত্র কঠোর আন্দোলন পবিত্র কাবার অবমাননাকারী র্মদ্রোহীদের
সর্বোচ্চ শাস্তির আইন সংসদে পাশ করতে হবে ।
--------মহাসচিব, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় পবিত্র কাবাঘরকে অবমাননা করে ধর্মবিদ্বেষী শিপন দাশ মুসলমানদের কলিজ্বায় আঘাত করেছে। তিনি বলেন, বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমান কাবাঘরকে সামনে রেখে সালাত আদায় থাকেন। এই ঘর যিয়ারতের জন্য বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ পবিত্র বায়তুল্লাহ’য় সমবেত হন। কাজেই মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্রঘর এই কাবাকে নিয়ে কটুক্তি করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। এজন্য গ্রেফতারকৃত শিপন দাসসহ যারা পবিত্র কাবাঘর, হজ্ব, আল্লাহ, রাসূল সা.কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। গ্রেফতারকৃত শিপন দাসকে কোনভাবেই জামিন দেয়ার চক্রান্ত করলে সর্বত্র আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পবিত্র কাবাঘরকে নিয়ে কটুক্তিকারী ধর্মবিদ্বেষী শিপন দাশের ফাঁসী, সংসদে ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তির আইন পাশের দাবিতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান পূর্ব জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জমায়েতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, নগর সহ সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক এইচ এম সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাদের, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, যুব নেতা মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, শ্রমিক নেতা শাহাদাত হোসেন, ছাত্র নেতা সাইফ মুহাম্মাদ সালমান প্রমূখ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, যুবনেতা নূরুল ইসলাম নাঈম, মুফতি মাছউদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, ডা. মুজিবুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ দেওয়ান।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘু ইসলামের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্ফালন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পবিত্র কাবাঘর, হজ্ব, বিশ্বনবী সা.কে নিয়ে তারা বার বার জঘন্য কটুক্তি ও অবমাননাকর পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে। সংখ্যালঘুদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। ধর্মবিদ্বেষী সংখ্যালঘুর লোকজন পবিত্র কাবা শরীফের উপরে হিন্দুধর্মের শিব মূর্তি স্থাপন করে ‘এটাই সত্যি’ বলে পোস্ট দিয়ে সীমাহীন স্পর্দা প্রদর্শন করছে। কোনক্রমেই যেন আইনের ফাকফোকর দিয়ে বের হতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে হালাল বস্তু গরুর গোস্ত খাওয়াকে কেন্দ্র করে অসংখ্য মুসলমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করছে। কোন মুসলমান হিন্দুধর্ম নিয়ে সামান্যতমও কটুক্তি করলে তাদের অবস্থা কি হতো? অথচ বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কতিপয় লোকেরা ইসলাম নিয়ে কতই জঘন্য কটুক্তি করছে। তিনি বলেন, যদি কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ইসলাম, মুসলমান, কাবা ও হজ্ব নিয়ে পুনরায় কটুক্তি করে ঈমানদার জনতা তাদেরকে রুখে দাড়াবে।
সমাবেশশেষে বেলা ১২টায় একটি বিশাল মিছিল ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর রওয়ানা হলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সেখান থেকে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের নিকট গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ। নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন মামুন চৌধুরী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

ad

All