এই আমলে সব বিচারপতি রাজনৈতিক বিবেচনায় : সুব্রত চৌধুরী

এই আমলে সব বিচারপতি রাজনৈতিক বিবেচনায় : সুব্রত চৌধুরী
---------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, শোড়শ সংশোধনীর আগেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল রেখে দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি খায়রুল হক তার রায়ে স্বচ্ছতা আছে বলেই রেখে দিলেন। এতে তিনি হাতও দেননি। কিন্তু একটি মাত্র রায় নিয়ে তিনি যেভাবে কথা বলা শুরু করেছেন তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি আদও প্রধান বিচারপতি হওয়ার যোগ্য ছিল কি না। কারণ কামরুল যেভাবে বলেছে রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন, তাহলে আমি বলবো সরকার এবং সরকারি দল এ পর্যন্ত যত বিচারপতি নিয়োগ করেছেন, যত প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন, বিশেষ করে তাদের আমলে সব কিছু রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়েছে। এটা একেবারেই গ্রহণ যোগ্য না। বিচার বিভাগকে তারা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র এবং উল্লাসে মেতে উঠেছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।
রোববার সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারি দল বলছে রায়ে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য আছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুব্রত চৌধুরী বলেন, রায়ে অপ্রাসঙ্গিক কিছু বলা হয়নি। আমি অনুরোধ করবো প্রত্যেককে রায় পড়ে মন্তব্য করার জন্য। এখানে রায় নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এভাবে বলা হয়নি। এখানে প্রত্যেকটা অনুচ্ছেদে তার (বঙ্গবন্ধুর) যোগ্য সম্মান দিয়েই কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা বুঝতে ভুল করছি। দুর্ভাগ্য, উচ্চ আদালতের একটা রায় নিয়ে দুই পক্ষ এত লাফালাফি করছে। এখানে লাফালাফি করার কিছু নেই।
তিনি বলেন, সাতজনের ঐক্যমতের ভিত্তিতে যে রায় হয়েছে সেটা ঐতিহাসিক। ইতিহাসে এটা ঘটেনি। আমি মনে করি এটা যুগে যুগে বিচার বিভাগের মান অক্ষুন্ন রাখবে। সকল দল, সকল মানুষ এতে উপকৃত হবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রায় নিয়ে কোনোভাবে আলাপ হতে পারে না।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল বারি বলেন, রায় নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা প্রকাশ্যে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তা অনাকাঙ্খিত, অশালীন এবং সংবিধান পরিপন্থী। রায় নিয়ে খায়রুল হকের বক্তব্যের বিষয়ে বলা হয়, সরকারের একটি লাভজনক পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ বেআইনী, শৃঙ্খলাজনিত অপরাধ এবং নজিরবিহীন।

ad

All