জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে ১৪ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।


জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে ১৪ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

১৪ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে অংশগ্রহণ এবং শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার কাহিনী বিবৃত করতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন ১৬ সেপ্টেম্বর। জেএফকে এয়ারপোর্টে সফরসঙ্গিসহ শেখ হাসিনা অবতরণ করবেন ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফতরের সম্ভাব্য সফরসূচি সংবাদদাতাকে আগস্ট মঙ্গলবার অবহিত করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি . সিদ্দিকুর রহমান। নিউইয়র্কে চিকিৎসার জন্যে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক . আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রসঙ্গে সংবাদদাতাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সফরের পর ভার্জিনিয়ায় যেতে পারেন। সেখানে তিনি পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, পুত্রবধূ ক্রিস্টিনা জয়, নাতী সোফিয়াসহ ঘনিষ্ঠজনদের সাথে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মদিন পালন করতে পারেন। তবে আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
. গোলাপ উল্লেখ করেন, টানা বছর যাবত জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন, এমন সরকার রাষ্ট্রপ্রধানের সংখ্যা খুবই কম। এঁদের অন্যতম শেখ হাসিনাকে নিয়ে তাই আন্তর্জাতিক মহলেরও কৌতুহলের সীমা নেই। এছাড়া, দারিদ্র্যবিমোচন, সন্ত্রাস দমনসহ নানা কর্মকান্ডে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সফলতার কাহিনীও জানতে আগ্রহী বিশ্বনেতারা। নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, ২১ অথবা ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিতে পারেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের সরকার রাষ্ট্র প্রধানদের সাথেও দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হবে বাংলাদেশের এই নেত্রীর।
. সিদ্দিক বলেন, এবারও বঙ্গবন্ধু কন্যা আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে আমরা সংবর্ধনা দেব। টাইমস স্কোয়ার এলাকায় ম্যারিয়ট মারকুইসের বলরুমে এটি অনুষ্ঠিত হবে তার সফরের সাথে সঙ্গতি রেখে। . সিদ্দিক উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছরই জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশের নেতা হিসেবে আগমণের সময় আমরা যেভাবে তাকে জেএফকে এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানিয়েছি, এবারও সে কর্মসূচি থাকবে। জাতিসংঘে ভাষণের সময়ে বাইরে আমরা শান্তি উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভাবনীয় সাফল্যের সমর্থনে সমাবেশ করবো। এরপর নেত্রী ভার্জিনিয়া গেলে সেখানে অবস্থানকালেও বড় ধরনের একটি কর্মসূচির আশা রয়েছে। নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথাবার্তা হচ্ছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য তথা এসডিজি সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ ঢাকা থেকে সংবাদদাতাকে আগস্ট জানিয়েছেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী ভার্জিনিয়ায় যেতে পারেন। সেখান থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ( কর্মসূচি চূড়ান্ত করা সাপেক্ষে) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার কথা। তবে সফরসঙ্গিদের অনেকেই জাতিসংঘ কর্মসূচির পরই বাংলাদেশে ফিরবেন। গত বছরও তিনি ভার্জিনিয়ায় জন্মদিন পালন করেছেন। এদিকে, দলীয় সভানেত্রীর এই সফর ঘিরে আওয়ামী পরিবারেই শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনও সরব হয়ে উঠেছে। সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সমর্থনে দৃশ্যমান হবার চেষ্টা করছেন।

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

ad

All