কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র : জাজ মাল্টিমিডিয়া

বর্তমানে সর্ব কালের সবচেয়ে বাজে সময় যাচ্ছে চলচ্চিত্রের । গত ঈদের সময় আন্দোলন এবং মধুমিতা সিনেমা হল মালিক ও সেন্সর বোর্ড সদস্য নওশাদ সাহেবের উপর হামলা, সব কিছু মিলেই এখন বাহিরের চলচ্চিত্র লগ্নি কারকরা সিনেমা মুখি হচ্ছে না, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে । আর পুরাতন কোন প্রযোজক তো সিনেমা বানায় না ।
এর ফলশ্রুতিতে, নতুন কোন নতুন সিনেমা হচ্ছে না এমনকি পুরাতন যে সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল তা আর বেশীর ভাগই হচ্ছে না ।
পরিপিক্ষিতে, চলচ্চিত্র (content) সঙ্কটে পরতে যাচ্ছে, বাংলাদেশের বন্ধ প্রায় হল গুলি । ভালো বড় সিনেমাতো দুরের কথা, করিমন সরিমন টাইপ সিনেমা ও থাকবে না আগামী জানুয়ারি থেকে । তাহলে হলে কি চলবে ? হল গুলি বাঁচবে কি দিয়ে ?
বাংলাদেশে সিনেমা মুক্তির দুইটি চ্যানেল আছে । এর জন্য বছরে দরকার ৮৮টি সিনেমা । হলকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কমপক্ষে ৬০টি সিনেমা দরকার বছরে । কিন্তু আগামী জানুয়ারি থেকে কোন সিনেমাই থাকবে না । আর আগামী জানুয়ারি থেকে ঈদ পর্যন্ত ৩-৪টি সিনেমা হবে হয়তো ।
তাহলে, কি হবে ? ডিসেম্বার থেকে হল বন্ধ হওয়া শুরু হবে । আর আগামী ঈদ এর আগেই অনেক হল বন্ধ হয়ে যাবে । আর আগেও বলেছি, যদি আর মাত্র ৫০টি হল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আর বাংলাদেশে কারও পক্ষে সিনেমা বানানো সম্ভব নয় ।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের অশনি সংকেত অতি সন্নিকটে । আর মাত্র কিছু দিন ।

রংবাজের টাইটেল গানে হিপ হপ শাকিব খানকে দেখা গেল


ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত বহুল আলোচিত ‘রংবাজ’ ছবির টাইটেল গান প্রকাশ হয়েছে। ‘রংবাজ আমি জেনে নে, রংবাজ আমি বুঝে নে, রংবাজিটা দেখে নে’-এমন কথার গানটি লিখেছেন ও গেয়েছেন শত্রুজিৎ। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন ডাব্বু। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় লাইভ টেকনোলজিসের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ হয়েছে।
গানটিতে পুরো হিপহপ স্টাইলে দেখা দিয়েছেন শাকিব খান। ঘাড়ে ট্যাটু, গলায় মোটা চেইন, হাতে ব্রেসলেট, নতুন হেয়ার কাট আর পরনে টিশার্ট ও থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট। একেবারেই অন্য শাকিব।
শুরুতে ছবিটি শামীম আহমেদ রনিরপরিচালনা করলেও ছবির কাজ শেষ করেছেন পরিচালক আবদুল মান্নান। কারণ রনির ওপর পরিচালক সমিতির নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি ছবিটির নির্মাণ শেষ করতে পারেননি।
আবদুল্লাহ জহির বাবুর চিত্রনাট্যে ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যাবে বুবলিকে। রূপরঙ চলচ্চিত্রের প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবিতে শাকিব-বুবলি ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন কাজী হায়াৎ, অমিত হাসান, নূতন, সাদেক বাচ্চু ও শিবা শানু, কাজী হায়াৎ ও লিয়ানা লিয়া প্রমুখ।

বন্যার্তদের পাশে ওমরসানী মৌসুমী দম্পতি


দেশের উত্তরাঞ্চল ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের সহায়তায় পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারকাদম্পতি ওমর সানী-মৌসুমী।
শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে ওমর সানী বলেন, এবার আমরা কোরবানি করব না। কোরবানির জন্য রাখা এক লাখ টাকা এবার বন্যাদুর্গতের জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আর মৌসুমী।
একই সঙ্গে বন্যাদুর্গতের সহায়তায় অন্যান্য তারকাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ওমর সানী। এ জন্য তিনি একটি ফান্ড গঠন করারও তাগিদ দেন। আর এই উদ্যোগ নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি না করতেও তিনি সবার প্রতি অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, কোরবানিতে শুধু মাংস বিলালেই ত্যাগ স্বীকার হয় বলে আমি বিশ্বাস করি না। কোরবানি হলো ত্যাগ। আল্লাহকে খুশি করার জন্য ত্যাগ স্বীকার করা। গত প্রায় ৩০ বছর ধরে আমি নিজের হাতে কোরবানি করি। এবারই করা হবে না।
ওমর সানী-মৌসুমী বর্তমানে ‘আমি নেতা হব’ ছবিতে কাজ করছেন। এছাড়া তারা আগামীতে অভিনয় করবেন ‘মামলা হামলা ঝামেলা’, ‘কেউ কথা রাখে না’ নামের আরও দুই ছবিতে।

তৃতীয় সন্তানের জনক হতে যাচ্ছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।


বিয়ে হয়েছে এখনও দুই মাস পূর্ণ হয়নি। এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা সংবাদ মাধ্যমে চাউর হয়ে গিয়েছে তৃতীয় সন্তানের জনক হতে যাচ্ছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
বিয়ের আগেই অবশ্য দুই সন্তানের জনক হয়েছিলেন মেসি। বাল্যকালের বান্ধবী এবং তার দুই সন্তানের মা আনতোনেল্লা রোকুজ্জোকে গত ৩০শে জুন নিজ শহর রোজারিওয় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়ে করেন মেসি।
আর্জেন্টাইন পত্রিকা ওলে মেসি-রোকুজ্জোর তৃতীয় সন্তানের খবর প্রকাশ করেছে। মেসির আগের দু’জন ছেলে- থিয়াগো এবং মাতেও। এ দু’জনের সঙ্গে তৃতীয়জনও ছেলে নাকি মেয়ে সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
বার্সেলোনার হয়ে মেসি মাঠে এবং মাঠের বাইরে যতই সমস্যার মধ্য দিয়ে সময় কাটাক না কেন, পরিবারে যে দারুণ শান্তির মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন সেটা এ খবরেই বোঝা যায়।

রাজা আসলেন, পা রাখলেন না কোথাও চলে গেলেন


২২ আগস্ট- নায়করাজের মৃত্যুতে শোকাহত চলচ্চিত্র পরিবার। রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকাহত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অভিনয় জীবনে অনেক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেতা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন মহানায়ক রাজ্জাক।
সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
নায়ক নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুর খবর শুনে ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের তারকারা। অভিনেতা আলমগীর, পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, ফেরদৌস, ওমর সানি, জায়েদ খান, সায়মন, মৌসুমীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে দেখা গিয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় নায়করাজ পৌঁছান তাঁর কর্মক্ষেত্র বিএফডিসিতে। ততক্ষণে তেতে উঠেছে রোদ্দুর। আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের শীতল গাড়ি নায়ককে নিয়ে গিয়ে থামে এফডিসির প্রশাসনিক ভবনের সামনে। সেখানে প্রস্তুত মঞ্চ, শোকের কালো চাদরে ঢাকা। সেই মঞ্চে নামানো হয়নি নায়ককে। আজ তিনি পা রাখেননি কোথাও। মঞ্চে রাখা হয়েছে ফুল। শীতল গাড়িটি সামনে রেখেই জানাজায় দাঁড়িয়ে পড়েছেন চলচ্চিত্রের স্বজনেরা। অনেকের চোখেই জল।
শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে দেখা যায় নায়করাজকে জানানো শ্রদ্ধার ফুলগুলো সরিয়ে সরিয়ে রাখছিলেন। জায়গা করে দিচ্ছিলেন অন্য ফুলগুলোর জন্য। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সারি বেঁধে নায়করাজকে একপলক দেখার জায়গা করে দিচ্ছিলেন সবাইকে। বড় পর্দার শত-শত মুখ তখন সেখানে, একটি মুখ এক পলক দেখার জন্য উন্মুখ।
এফডিসিতে পড়ানো হয় নায়করাজের জানাজার নামাজ। এই প্রিয় অভিনেতাকে শেষ বারের শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি প্রাঙ্গনে ছুটে আসেন সর্বস্তরের লোকজন। নায়করাজের জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, খ্যাতিমান অভিনেত্রী শাবানা, অভিনেত্রী রজিনা, অভিনেত্রী ববিতা, বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চিত্র নায়ক শাকিব খানসহ অন্যান্য শিল্পীরা।
এফডিসি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় নায়করাজকে। সেখানে নায়কের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ ও বিশিষ্টজনরা।
আওয়ামী লীগের পক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। বিএনপির পক্ষে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শহীদ মিনারে সংগঠনগুলোর মধ্যে আসে বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, এনটিভি, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ওয়ার্কার্স পার্টি, দৃষ্টিপাত নাট্য সংসদ, মুক্তধারা সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, বাউল একাডেমি ফাউন্ডেশন, যুব সমিতি, সুবচন নাট্য সংসদ, দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট, ডিরেক্টরস গিল্ড, এনটিভি, দেশ টিভি, প্রজন্ম ৭১, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিসহ আরও বেশ কিছু সংগঠন।
বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রে খুব কমই অভিনয় করছেন নায়করাজ রাজ্জাক। শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও বেশ সফল। ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেন রাজ্জাক। নায়ক হিসেবে নায়করাজ প্রথম অভিনয় করেন জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ ছবিতে। এতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুচন্দা।
ষাটের দশকের মাঝের দিকে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ষাটের দশকের বাকি বছরগুলোতে এবং সত্তরের দশকেও তাঁকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। রাজ্জাক চলচ্চিত্র পরিচালনায়ও সফলতা অর্জন করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র অনন্ত প্রেম ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায়। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র আয়না কাহিনী মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। তিনি সব মিলিয়ে প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।
নায়করাজ রাজ্জাক প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয় করে। পাঁচবার তিনি জাতীয় সম্মাননা পান। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার পেয়েছেন।

নায়করাজের মৃত্যুতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার গভীর শোক


আর নেই নায়করাজ রাজ্জাক। সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি। প্রিয় নায়কের প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান তার পরিবার, বাংলা চলচ্চিত্র পরিবার ও তার ভক্ত সমর্থকগণ।
নায়কের মৃত্যুর খবর শুনে কলকাতা থেকেও শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে অন্যতম কলকাতার দুই সুপারস্টার প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা।
টালিউডের নায়ক প্রসেনজিৎ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রাজ্জাকের একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‌‌‌‘‘তিনি আমার কাছে বাবার মতো ছিলেন এবং থাকবেন। তার সঙ্গে অসংখ্য ছবিতে কাজ করেছি। তার এই অকাল মৃত্যুতে শুধু বাংলা চলচ্চিত্রই নয়, আমার হৃদয়েও সৃষ্টি হয়েছে বিশাল শূন্যতার। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানাই। শান্তিতে থাকুন ‘রাজ্জাক সাহেব’।’’
আর ঋতুপর্ণাও নায়করাজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আব্দুর রাজ্জাক স্যারের মৃত্যুর খবরটি শুনে প্রচণ্ড বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলাম। অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছা করছে এই প্রিয় নায়ককে নিয়ে। আমরা একসঙ্গে ‘বাবা কেন চাকর’সহ আরও অন্যান্য ছবিতে কাজ করেছিলাম। শান্তিতে থাকুন স্যার, এই প্রার্থনা করি।’’
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু ছবিতে নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা। রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘বাবা কেন চাকর’ ছবিতে প্রসেনজিৎ অভিনয় করেছিলেন তারই ছেলের ভূমিকায়। আর ঋতুপর্ণাও সেই ছবিতে ছিলেন প্রসেনজিতের বিপরীতে।

বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকে দেখতে হাসপাতালে তার সহকরমিরা ভিডিও


নায়করাজ রাজ্জাক আর চিত্রনায়ক শাকিব খান। একজন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী আর অন্যজন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এ সময়ের শীর্ষ নায়ক। আজ ২১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্জাকের মৃত্যু সংবাদ শুনে শোকে স্তব্ধ হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর ছুটে যান রাজধানীর ইউনাটেড হাসপাতালে। সেখানে এসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
নায়করাজ রাজ্জাকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘এখনকার প্রজন্ম এবং আগামী যত প্রজন্ম আসবে তাদের কাছে নায়ক রাজ রাজ্জাক একটি প্রেরণার শক্তি হয়ে থাকবে।’
আগামীকাল ২২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে নায়করাজ রাজ্জাককে। তার আগে জোহর নামাজের পর গুলাশানে আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। জানালেন নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে সম্রাট। তিনি এখন আছেন রাজধানীর ইউনািইটেড হাসপাতালে।
সম্রাট আরও বলেন, ‘গুলশানে আজাদ মসজিদে নেওয়ার কারণ হলো, আব্বা সব সময় এই মসজিদে নামাজ পড়তেন। ’
তিনি জানান, এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে রাজ্জাককে গোসল করানো হচ্ছে। এরপর এই হাসপাতালের শবহিমাগারে তার মরদেহ রাখা হবে। সকালে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে ।
এদিকে রাজ্জাকের মরদেহ যখন গোসলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, তখন রুমের সামনে ছোট্ট একটু জায়গায় ভিড় করে আছে চলচ্চিত্র জগতের লোকজন। সবাই নির্বাক। পাশেই সোফায় বসে আছে নারীশিল্পীরা। অনেকেই কাঁদছেন। সবার চোখে পানি।
নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই। আজ ২১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে হার্ট অ্যাটাক হওয়া অবস্থায় নায়করাজ রাজ্জাককে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ৬টা ১৩ মিনিটে তিনি মারা যান।

ad

All